স্টাফ রিপোর্টার নাটোর
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে লালপুর সহ আশেপাশের অঞ্চল। মাঠে ফসল, প্রানীকূল হাঁসফাঁস করছে। সেইসাথে যুক্ত হয়েছে পানির সংকট। হস্তচালিত নলকূপ এবং স্যালো-বরিঙে উঠছে না পানি। ফলে গৃহস্থালি থেকে শুরু করে মাঠে কৃষক, উভয়ই পরেছে চরম সংকটে।
সরেজমিন দেখা যায়, লালপুরের গন্ডবিল গ্রামের মাঠে স্যালোইঞ্জিন চালিয়ে ধানের সেচ কাজ করেন রাজিব আলী। দুই সপ্তাহ আগেও তাঁর সেচ পাম্পে পর্যাপ্ত পানি উঠত। এখন ৪ থেকে ৫ ফুট মাটির গভীরে মেশিন বসিয়েও পানি উঠছে না। ভারি বৃষ্টি না হলে রাজিবের মতো লালপুরের হাজারও কৃষক জমিতে সেচ নিয়ে বিপাকে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবার হস্তচালিত টিউবওয়েলগুলোতেও একইভাবে উঠছে না পানি। বেশ কয়েক বছর ধরেই উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার টিউবওয়েলে কম পানি উঠছে। ভূক্তভোগীরা বলছে, ইরি ধানের সেচ কাজে এবং পুকুর খনন করে মাছ চাষের জন্যে মাত্রাতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করায় পানির স্তর নেমে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বেশির ভাগ বিল-ঝিল, জলাশয় ও পুকুর-নদীর পানি শুকিয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ২০-২৫ গ্রামে প্রায় শতাধিক নলকূপে পানি কম উঠছে। সাধারণত ২০ থেকে ৩০ ফুট নিচে পানির স্তর পাওয়া যায়। কিন্তু এখন ৩০ থেকে ৪০ ফুট নিচেও পানির লেয়ার মিলছে না। তবে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply